সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাংলাদেশে সব বৈধ অস্ত্র অবৈধ ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা সবগুলো বৈধ অস্ত্র জমা নিয়েছি। নতুন ভাবে নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে নতুন লিস্ট করে সেগুলো দেওয়া হবে। রাজনীতির বড় বড় নেতা কর্মীদের বলব আপনারা পুলিশকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার না করে দেশের ন্যায় সঙ্গত ভাবে কাজ করার জন্য সহযোগিতা করুন বলে রংপুরে জানিয়েছেন, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ মোঃ ময়নুল ইসলাম(এনডিসি)
তিনি আরো বলেন, বর্তমান শহীদ আবু সাঈদের মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশদেরকে সময়িক সময়ের জন্য বদলি করা হয়েছে। যারা প্রকৃত ভাবে জরিত। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে ব্যবস্থা নিব। বর্তমান ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি তারা কোনো ধরনের মিছিল বা মিটিং করে, তাহলে পুলিশ তাদের ধরে আইনের আওতায় নিয়ে গিয়ে সেই স্থানে আমাদের বদলির ব্যবস্থা করবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে রংপুর জেলা পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এসব কথা বলেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী (বিপিএম) এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুরের সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ বলেন, যাদের জন্য ২৪ আন্দোলনের স্বাধীনতা পেয়েছি। ফ্যাসিস্টরা এখনো ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদেরকে কেনো ধরচ্ছে না। যারা হত্যা করেছে তারা এখনো চাকরিতে বহাল আছে। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।।
শহীদ আবু সাঈদের ছোট ভাই আবুল হোসেন বলেন, বক্তব্যের প্রথমে স্মরণ করছি শহীদ আবু সাঈদ সহ সারা দেশে যারা আহত হয়েছেন। আমার ভাই আবু সাঈদ সহ যারা মারা গেছেন। যারা গ্রেফতার হয়েছেন আর বাকি আসামি গুলোকে দ্রুত গ্রেফতার করে। আইনগত কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে শাস্তির অনুরোধ জানাচ্ছি।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও রংপুর দিনাজপুর-অঞ্চলের টিম সদস্য মাহাবুবার রহমান বেল্লাল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের আমলে হত্যা, গুম খুন চালিয়েছে। তারা এখনও প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দ্রুত তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সারজিস আলম বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই। যেই দেশ ন্যায়সঙ্গতভাবে চলবে। যেকোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে চলবে না। স্বৈরাচারী সরকারের দোসরা এখনো প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা করুন।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো একটা রাজনৈতিক দল। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তাদের সঙ্গী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। যারা সংসদের এমপি বা মন্ত্রী হয়েছেন। তারা সকলেই স্বৈরাচারী সরকারের দোসর।
রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল জানান, এই চেয়ার জনগণের চেয়ার। আমরা জনগণের চাকর। আমি একটা প্রোগ্রামে বলেছি আমার ব্যাগ গোছানো আছে। যদি কাজ করতে না পারি তাহলে চলে যাব। আমরা জনগনের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা জনগণের সবচেয়ে বড় বন্ধু হব।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আজমল হোসেন বলেন, আন্দোলনে আমাদের পূর্ণসমর্থন ছিল কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা এখন স্বাধীন, সেজন্য গর্বিত। বর্তমানে এমন ভাবে কাজ করতে চাই। যাতে নতুন বাংলাদেশে বৈষম্য দূর করতে পারি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম, প্রশাসনের বিভিন্ন সংগঠনের উদ্ধতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সরকারি অফিসের কর্মকর্তা, ছাত্র সমন্বয়কসহ ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শাহাদত বরণকারী ও আহত বীরদের সম্মানে উৎসর্গীকৃত চেক প্রদান করেন।